উজানের ঢল ও বৃষ্টিতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
Published : 01 Nov 2020, 10:29 AM
শনিবার মধ্যরাতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর এলাকায় বাঁধে ভাঙন দেখা দেয় বলে এই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
রোববার সকাল ৯টায় মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে জানান ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন।
ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপে শনিবার রাত ১২টার দিকে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর দৌলতপুর এলাকার মোহাম্মদ উল্যাহর বাড়ির পাশে মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ফুলগাজী বাজারের পশ্চিম অংশে শ্রীপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে উপজেলা সদরের মূল সড়ক তলিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের আশঙ্কা দেখে শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা ভাঙন ঠেকাতে বালির বস্তা তৈরি করে রেখেছিল। রাত ১২টার দিকে ভাঙন দেখা দিলে ৫০/৬০টি বস্তা ফেলেও পানির তোড়ে ভাঙন ঠেকানো যায়নি।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ২.৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১৩.৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টার দিকে পানি কিছুটা কমে ১৩.৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা জানান, পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
গত ১২ জুলাই মুহুরী নদীর ৬টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ মেরামত করলেও মুহুরী নদীর পানির এবারের চাপে তা আবার ভেঙে পড়ে।