করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে লকডাউনের মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক প্রবাসীর পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
Published : 23 Apr 2020, 05:43 PM
শ্রীপুর থানার এসআই এখলাস ফরাজী জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জৈনাবাজার আবদার এলাকায় ঘরের ভেতর চারজনের লাশ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার লংগাইর ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রী (৪৫), তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বয়স ১৬ ও ১২ বছর এবং বাক প্রতিবন্ধী ছেলের বয়স ছিল ৮ বছর।
দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় তারা থাকতেন; ওই ঘরের একটি কক্ষে তাদের লাশ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এখলাস ফরাজী বলেন, “চারজনের সবাই ছিল বিবস্ত্র। প্রাথমিক আলমত দেখে মনে হচ্ছে মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে সবাইকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।”
এখনও অনেক কিছুই স্পষ্ট নয়; তদন্তে হয়ত এসব প্রশ্নের উত্তর বেরিয়ে আসবে, বলেন তিনি।
প্রবাসীর এক ভাতিজা জানান, তার চাচা ১৬ বছর মালয়েশিয়ায় থেকে দেশে ফিরে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। আসার সময় ইন্দোনেশিয়ার নাগরিককে বিয়ে করে আনেন। দেশে এসে ব্যবসায় সুবিধা করতে না পেরে ছয় বছর আগে আবার তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। এর মধ্যে দেশে যাওয়া-আসা করতেন।
তবে কারও সঙ্গে তার চাচার কোনো বিরোধ ছিল না বলে তিনি জানান।
প্রবাসীর ছোট ভাই সাংবাদিকদের জানান, তাদের পৈতৃক বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গোলবাড়ি গ্রামে। ভাইয়ের বাসার পাশের বাসায় তিনি থাকেন। বুধবার সন্ধ্যায় ভাবি তাকে বাজার থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জন্য গরুর মাংস কিনে আনতে বলেছিলেন।
“এরপর দুপুর ১২টার দিওেক ফের ডেকে সাড়া না পেয়ে স্থানীয়দের জানাই। দুপুর ৩টার দিকে প্রতিবেশী এক যুবককে মই বেয়ে দোতলায় উঠতে বলি। ওই যুবক দোতলায় উঠে তাদের বাসার পিছনের দরজা খোলা দেখেন। তিনি ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ঘটনাটি আমরা পুলিশে জানাই।”
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ বলেন, দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একই কক্ষে গলাকাটা মরদেহ দেখে তাদের স্বজন (প্রবাসীর ভাই) পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি ঘিরে রেখে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগকে খবর দেয়।
“তারা না আসা পর্যন্ত আমরা ঘরে ঢুকছি না। সেখানে ওই চারজন ছাড়া আর কেউ থাকতেন না।”