ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উত্তাল সমুদ্রে নৌ-চলাচল বন্ধ থাকায় বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছেড়েছে। বিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌছানো কথা তাদের।
Published : 11 Nov 2019, 02:29 PM
সোমবার দুপুরে এসব আটকে পড়া এসব পর্যটক তিনটি জাহাজে করে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ।
তাছাড়া সোমবার সকালেই স্থানীয়দের তিনটি ট্রলারে করে ‘প্রায় দেড়শ পর্যটক’ টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে ফিরেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়ে।
দ্বীপে গত ৩ দিন ধরে আটকা পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার বিশেষ ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান নূর আহমদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।
“দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের আনতে সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে তিনটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে।”
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার সকালে তিনটি বিকালে পর্যটকদের নিয়ে জাহাজগুলো টেকনাফ ঘাটে পৌঁছবেন।’
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, তার জাহাজে করে দ্বীপে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের আনতে টেকনাফ থেকে জাহাজ পাঠানো হয়েছে। পর্যটকরা বিকালে টেকনাফ পৌঁছবে।