ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলায় বিচার শুরু হয়েছে।
Published : 30 Jun 2019, 09:46 PM
রোববার ফেনীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আবদুর রহিমের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন রাখা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন নুর নবী নয়ন ও মোতাহের হোসেন মুর্তুজা।
এই আদালতের এপিপি নুরুল ইসলাম মজুমদার সোহাগ জানান, ‘উম্মুল কুরা’ সমিতির চেয়ারম্যান থাকাকালে সিরাজ উদ-দৌলা জমি, গাড়ি, একটি ফার্নিচার শো-রুম ও উম্মুল কুরা মাদ্রাসার জামানত বাবদ এক কোটি ৩৯ লাখ ৪ হাজার ৬শ টাকার একটি চেক উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাইয়ুম ভূইয়াকে প্রদান করেন।
“ওই চেকটি ইসলামী ব্যাংকের ফেনীর কলেজ রোড শাখায় জমা দেওয়া হলে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় ফেরত দেওয়া (ডিজ-অনার) হয়।”
এপিপি সোহাগ জানান, এ ঘটনায় গত বছরের ২৮ অগাস্ট আদালতে সিরাজ উদ-দৌলা, নুর নবী নয়ন ও মোতাহের হোসেন মুর্তুজাকে আসামি করে চেক জিড-অনারের মামলা দায়ের করেন উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাইয়ুম ভূইয়া।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহার রাফি হত্যা মামলায় সিরাজ উদ-দৌলা কারাগারে আছেন। ওই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে মাদ্রাসা সংলগ্ন সাইক্লোন সেল্টারের ছাদে একদল লোক তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাতের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান গত ৮ এপ্রিল ওই সময়ের মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় সিরাজ উদ-দৌলাসহ ২১ জনকে আটক করা হয়েছে।