রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
Published : 19 Mar 2019, 09:19 AM
বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে সাতজনকে হত্যার ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটল।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আলিখিয়ং এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
“সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা ফারুয়া ইউনিয়ন থেকে নৌকায় করে বিলাইছড়িতে ফিরছিছেন। পথে একদল লোক তাকে গুলি করে হত্যা করে।”
বিলাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইকবাল জানান, সুরেশ কান্তির লাশ উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাঙামাটি নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেছেন, সুরেশ হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে জনসংহতি সমিতির জেলা সম্পাদক নীলোৎপল খীসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এ ধরনের রাজনীতি করি না। এসব ঘটনার সাথে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন প্রচেষ্টা।”
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোমবার বিলাইছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যাকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জনসংহতি সমিতি সমর্থিত প্রার্থী বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা।
সোমবার উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার তিনটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচনকর্মীরা ফেরার পথে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা হয়।
বাঘাইছড়ি-দিঘিনালা সড়কের নয় মাইল এলাকায় ওই হামলায় দুই পোলিং অফিসারসহ সাতজন নিহত হন, গুলিবিদ্ধ হন আরও অন্তত ১১ জন।
ওই হামলার জন্যও সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে প্রয়াত এমএন লারমার অনুসারী জনসংহতি সমিতির নেতারা। সন্তু লারমার দল তা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালানোর কথা বললেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কাওকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।