প্রিয়াংকা আক্তার নামের মেয়েটি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঝলসানো ক্ষত নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফেনী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, জোহরা বেগম নামে প্রতিবেশী এক নারী মঙ্গলবার বিকালে প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ মধ্যরাতে কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে গৃহকর্ত্রী শাহানা আক্তার শাহেনীকে আটক করে।
শাহানা আক্তার শাহেনীর বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের গজারিয়া কান্দি গ্রামে। তিনি বাংলা সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। ঢাকায় বসবাস করলেও গ্রামের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াত আছে বলে প্রতিবেশীদের ভাষ্য।
কয়েক দিন আগে শাহানা ফেনীর বাড়িতে আসেন, প্রিয়াংকাও তার সঙ্গে আসে। সোমবার রাতে কোনো এক সময় শিশুটির ওপর শাহানা নির্যাতন চালান বলে জোহরার ধারণা।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে শাহানার বাড়ি থেকে ক্রমাগত কান্নার শব্দ আসতে থাকায় স্বামীকে নিয়ে তিনি ওই বাসায় যান। সেখান থেকে প্রিয়াংকাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রিয়াংকার বরাত দিয়ে জোহরা বলেন, “সোমবার রাতে লাঠি দিয়ে পেটানোর পর এক পর্যায়ে শাহানা শিশুটির শরীরে গরম পানি বা তেল জাতীয় কিছু ঢেলে ঝলসে দেয়। পরে তাকে ঘরে আটকে রেখে বেরিয়ে যায়।”
ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফৌজুল কবীর বলেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।
“শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে যাওয়ায় ওর কিডনি ঝুঁকিতে রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া দরকার। কিন্তু অভিভাবক না থাকায় আপাতত এখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, “আমরা শাহানাকে আটক করেছি। এ বিষয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।