বুধবার জেলা শহরের আশ্রমপাড়া, গোবিন্দনগরসহ সদর উপজেলার কয়েকটি মণ্ডপে গিয়ে তিনি এলাকাবাসীর খোঁজখবর নেন। দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
ফখরুল বলেন, “দুর্গাপূজা উৎসবে আমরা প্রার্থণা করেছি পরম করুণাময়ের কাছে, বাংলাদেশে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে যেন গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
“বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করা, অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্ত হওয়া—এটাই হচ্ছে আজকে দুর্গাপূজা উৎসবে সকলের প্রার্থনা। সেই সাথে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার পক্ষ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
ঠাকুরগাঁওয়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সব সময় একটা অত্যন্ত সুন্দর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করি। আমাদের এখানে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই অত্যন্ত স্বাধীন ও মুক্তভাবে ধর্মীয় কাজ ও ধর্ম পালন করতে পারেন। সারা বাংলাদেশের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি উদাহরণ।”
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে দেশে গণতন্ত্রকে পুনরুউদ্ধার করার জন্য এবং দেশের মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য। সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজব্যবস্থা প্রবর্তন করা জন্য।
“দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে, অন্যায়-মিথ্যা মামলায়। এছাড়া একইভাবে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী আজকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত এবং অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার। গণতান্ত্রিক যে স্পেস, ডেমোক্রেটিক যে স্পেস, সেটা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে গেছে।”
আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে আমরা একটা জনসভা করব। তারপরের আন্দোলনের তারিখগুলো আমরা জানিয়ে দিব। পরবর্তীকালে আরও জনসভা হবে। শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা আমদের দাবিগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাব।”
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়ের ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন।