কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলায় গুরুতর আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তারেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে বলে তার পরিবার ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন।
Published : 08 Jul 2018, 04:07 PM
তরিকুলের সহপাঠী মতিয়ার রহমান জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৮ টায় তারা তরিকুলকে নিয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকার পথে রওনা হন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সুন্দরখোল উত্তরপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে তরিকুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সে পড়েন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত সোমবার ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পতাকা মিছিলে হামলার ঘটনায় মারধরের শিকার হন তরিকুল।
ওই ঘটনার জন্য আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়। অন্যদিকে ছাত্রলীগ বলেছে, তারা আন্দোলনকারীদের নয়, ‘শিবির প্রতিহত’ করেছে।
হামলায় লোহার রড, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তরিকুলকে গুরুতর আহত করে। পরে তরিকুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডান পায়ের হাড় ভাঙা তরিকুলকে চিকিৎসার মাঝপথেই বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল থেকে ‘জোরপূর্বক’ ছুটি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার ও সহপাঠীরা। পরে তাকে ভর্তি করা হয় ‘রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতাল’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
রয়্যালের চিকিৎসক সাঈদ আহমেদ বাবু বলেন, “পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, তরিকুলের ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। এর জন্য অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। তাছাড়া তরিকুলের মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙেছে কি না তা এক্সরে রিপোর্টে বোঝা যাচ্ছে না। এজন্য আরও উন্নত পরীক্ষার প্রয়োজন। সে জন্য তরিকুলকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তরিকুলের সহপাঠী মতিউর বলেন, “এককভাবে কারও টাকায় তরিকুলের চিকিৎসা হচ্ছে না। তার চিকিৎসায় অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা করছে। আমরা ঢাকায় যাই, তারপর বাকিটা বলতে পারব।”
ঢাকায় কোনো একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বললেও হাসপাতালের নাম বলেননি মতিউর।
তরিকুলের ছোট বোন ফাতেমা খাতুন বলেন, তরিকুলের সহপাঠীরা রোববার সকালে তাকে নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হলে তিনি গাইবান্ধায় বাড়ির পথে রওনা দেন।
এদিকে তরিকুলের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কাওকে আটকও করেনি পুলিশ।