বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন কামরান। এর দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ৩টায় জমা দেন আরিফুল।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান বলেন, কামরান ও আরিফসহ মোট নয়জন মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬৩ জন।
মেয়র পদের অন্য সাত প্রার্থী হলেন বিএনপির বিদ্রোহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জামায়াতের এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, বাসদের মো. আবু জাফর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোয়াজ্জেম হোসেন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের, কাজী জমিস উদ্দিন ও মুক্তাদির হোসেন তাফাদার।
“নির্বাচন ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীসহ সবাই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ। আশা করছি আতীতের মতো জনগণের রায় নিয়ে মেয়রের পদে আসীন হব।”
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কামরানের সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, “সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তো রয়েছেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক দেখছি। খুলনা ও গাজীপুরের মতো পরিন্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকে নির্বাচন কমিশন লক্ষ রাখবে বলে আশা করছি।”
এর আগে বেলা ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের পদ ছাড়েন আরিফুল।
বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইন, শাহরিয়ার হোসেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।