ভোলা সদরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় জনতা বাজার পুলিশ ক্যাম্পের সকল সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চার জনকে ভোলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
Published : 27 May 2016, 07:31 PM
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটির ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আকরাম হোসেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রুম্মান (২৫) নামে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল রেঞ্জের এডিআইজি মো. আকরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘটনাটি তদন্ত করবে। কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
রিপোর্টের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভোলা মডেল থানার ওসি খায়রুল কবির বলেন, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ নিহত রুম্মানের লাশ তার বাড়ি থেকে সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর আবার বাড়িতে নিয়ে আসে।
সন্ধ্যায় পারিবাকির কবরস্থানে তাকে দাপন করা হয় বলে জানান ওসি।
সংযুক্ত করা চার পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল আমিনুল, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান, কনস্টেবল রাজিব ও কনস্টেবল মো. আলাল।
প্রত্যক্ষদর্শী রাজাপুরের জনতা বাজারের ব্যবসায়ী মো. জাহিদ, মো. জসিম, মো. সেলিম, মো. সবুজ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর জনতা বাজার পুলিশ ক্যাম্পের চার কনস্টেবল একটি মামলায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে বাজারের চায়ের দোকানের জ্বালানি কাঠ দিয়ে পেটাতে থাকে।
ওই সময় বাজারের লোকজন প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ বেধে যায়।
এক পর্যায়ে গুলিতে স্থানীয় বেলাল জমাদারের ছেলে রুম্মান (২৫) নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিনের মা আমিরুন নেছা (৫২) ও জসিম (২৭) ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৪০/৫০ রাউন্ড গুলি ও কয়েক রাউন্ড চাইনজ পিস্তলের গুলি চালিয়েছে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “সঠিক প্রক্রিয়ায় নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাই জনতা বাজার পুলিশ ক্যাম্পের সকল সদস্যকে প্রত্যাহার এবং চার জনকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”