পুরো জেলায় ১৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
Published : 07 Aug 2023, 07:17 PM
ভারি বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে একাধিক স্থানে আকস্মিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে, প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার দুপুরে পৌর শহরের শালবন, কলাবাগান, সবুজবাগ এলাকায় পাহাড় ধসে গেছে।
এদিকে চেঙ্গী নদীর পানির বাড়ায় শহরের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি প্রায় তিন হাজার পরিবার। এ ছাড়া মানিকছড়ি উপজেলায় পাহাড় ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি।
সংস্কারে সেনাবাহিনী কাজ করছে বলে জানিয়েছে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি পৌরসভা শালবনের বাসিন্দা জুলেখা বেগম বলেন, “পাহাড় ভেঙে মাটি ঘরের ভেতরের ঢুকে গেছে । বৃষ্টি হলেই পাহাড় ভেঙে পানি ঘরে ভেতরে ঢুকে পড়ছে। বাড়ির ভেতরে অনেক মূল্যবান জিনিস থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারছি না।”
একই এলাকার বাসিন্দা অজিফা বেগম বলেন, “আমি বুঝতেই পারিনি এভাবে পাহাড় ভেঙে যাবে। হঠাৎ মাটি ভেঙে পড়ছে। এখন বৃষ্টি বাড়লে আরও ভাঙবে। আমরা এখন কি করব!”
খাগড়াছড়ির পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, “শালবন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর মধ্যে ৩০ পরিবার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
“যারা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক নির্দেশ দিয়েছেন। রাতের মধ্যে তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।”
বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মো.সহিদুজ্জামান বলেন, “শালবন ও কুমিল্লা টিলা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সেখানকার বসবাসকারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, পুরো জেলায় ১৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাইবে না তাদের বাধ্য করা হবে।
এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ করা হয়েছে বলে জানান এই জেলা প্রশাসক।