কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা যশোর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর

মনিরামপুরে ৪৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

নৌকার প্রার্থী ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী।

শনিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইয়াকুব আলী বলেন, মনিমারপুরবাসী ভোট প্রদানের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন।

“কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোটার উপস্থিতি বাধাগ্রস্ত করতে অপকৌশল নিয়েছেন। শনিবার রাতে মনিরামপুরজুড়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটাবেন। ভোটের দিনও ঘটাতে পারেন বলে আমার কাছে কর্মীরা এসে বলছেন। যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে না পারেন।”

তার অভিযোগ, “ইতিমধ্যে নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে মাঠে না থাকার জন্য। ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। সুন্দলপুর গ্রাম থেকে আমার একজন সক্রিয় কর্মীকে তুলে নিয়ে নানা হুমকি দিয়ে ছেড়েছে।”

মনিরামপুরে ৪৮টি কেন্দ্র ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে প্রশাসনকে জানিয়েছেন এবং সেখানে গোলযোগ সৃষ্টি করে নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে ইয়াকুব আলী জানান।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, “নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মণিরামপুরে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের পরিবেশ রয়েছে। জনগণ থেকে এই প্রার্থী জনসমর্থন না পাওয়ায় এসব অভিযোগ তুলছেন।”

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা, ইসলামী ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী ও জাতীয় পার্টির এমএ হালিম।

এর মধ্যে ভোটের দুই দিন আগে নিজ দলের প্রতি ক্ষোভ ও নির্বাচনী পরিবেশ নাই অভিযাগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা ও জাতীয় পার্টির এমএ হালিম।