ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাংবাদিক রানার সাজা: শেরপুর প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ

বিবৃতিতে তারা বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনা আমাদের বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

শফিউজ্জামান রানা

শেরপুরের নকলায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শেরপুর প্রেস ক্লাব।

শনিবার প্রেস ক্লাবটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার ও সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় যখন সরকার স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যমের অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কাজ করছে, ঠিক তখন বির্তকের ঊর্ধ্বে না হলেও একজন গণমাধ্যমকর্মীকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে সাজা দেওয়ার ঘটনা আমাদের বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে নকলার ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মচারী গোপনীয় সহকারী (সিএ) শীলা আক্তারকে নাজেহাল, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল তছনছ এবং উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক এক সভায় ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনের কর্তব্য কাজে বাধাসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে তাকে আটক করা হয়।

পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়।

এ ঘটনায় মফস্বলের সাংবাদিক সমাজ ফুঁসে ওঠে। এরই জেরে শেরপুর প্রেস ক্লাব এক বিবৃতি দেয়।

এতে বলা হয়, জেলা প্রশাসন স্মার্ট শেরপুর গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের যেকোনো ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে শেরপুর প্রেস ক্লাবসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা সহযোগিতা করে আসছেন। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে একটি চমৎকার ও সহযোগী সম্পর্ক বহাল এবং স্বাধীন-সুষ্ঠু সাংবাদিকতার অঙ্গন রক্ষার স্বার্থে জেলা প্রশাসন সাজাপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার দ্রুত মুক্তিসহ উদ্ভূত অবস্থার অবসান ঘটাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

আরও পড়ুন

‘তথ্য চেয়ে’ ছয় মাসের দণ্ড নিয়ে কারাগারে সাংবাদিক