রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ, সাহাবুদ্দিনের পাবনায় উৎসবের আমেজ

শপথ অনুষ্ঠান পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বড় পর্দায় দেখানো হয়; পরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন দলের নেতা-কর্মীরা।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2023, 03:15 PM
Updated : 24 April 2023, 03:15 PM

মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন তার নিজ জেলা পাবনায় বইছে উৎসবের আমেজ।

সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে দেখানো হয় বড় পর্দায়।

শপথ শেষে সেখানে নতুন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করা হয়। পরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।

সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেসক্লাবেরও সদস্য ছিলেন। সকালে এই ক্লাবে বসে শপথ অনুষ্ঠান দেখার পাশাপাশি একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান সাংবাদিকরাও।

জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদর রহমান শহীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের রাষ্ট্রপতি আমাদের সবার জন্য গর্বের। তিনি কর্মজীবনে যেসব জায়গা বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেখানেই সাফল্য অর্জন করেছেন।

“আমরা আশা করি রাষ্ট্রপতি হিসেবেও তিনি সফল হবেন। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। তিনি যেন তার শেষ কর্মদিনেও সফলতার সঙ্গে দেশবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকেন।”

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শিবরামপুরে জন্ম নেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরুর পর একাধিকবার ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।

১৯৭১ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধেও। যুদ্ধের পর তিনি জেলা যুবলীগের সভাপতি হন।

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।

১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সাহাবুদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।

দৈনিক বাংলার বাণীর পাবনা প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন তিনি। পরে আইন পেশায় যান; এবং ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন বিচার বিভাগে। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলায় হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে যে কমিশন হয়, তারও প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন।

২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ। সেদিনই নিশ্চিত হয় তিনিই যাচ্ছেন বঙ্গভবনে। পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।