তবে গাছে লিচুর ফলন কম হলেও বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক।
Published : 08 Jun 2024, 10:37 PM
দিনাজপুরে লিচুর বাজার জমে উঠলেও এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে লিচুর ফলন কম, আকারে ছোট। স্বাদেও তারতম্য রয়েছে।
এসব লিচুর দাম অনেক বেশি হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকারি ক্রেতারা।
এবার অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে এবার লিচুর ফলন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষি ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান বলেন, গত বছর জেলায় ৩০ হাজার টন লিচু উৎপাদিত হয়েছিল। এবছর বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে কত কম সে পরিমাণ এখনি বলা যাচ্ছে না।
এছাড়া এখন লিচু বাজারজাত করার মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় পরিপক্ব লিচুর সঙ্গে দ্রুত সময়ে আধাপাকা লিচুও বিক্রি করে দিচ্ছেন কৃষক।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার জেলায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বোম্বাই ও মাদ্রাজি জাতের লিচুর ফলন কিছুটা ভালো হলেও বেদেনা এবং চায়নাথ্রি লিচুর ফলন ৫০ শতাংশ কম হয়েছে।
তবে গাছে লিচুর ফলন কম হলেও বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক।
সদর উপজেলার লিচু চাষি মোসাদ্দেক হোসেন জানান- তারা শহরের ফল মার্কেট কালিতলার আড়তে মাদ্রাজি ও বোম্বাই জাতের লিচু প্রতি হাজার প্রকারভেদে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, বেদেনা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় এবং চায়নাথ্রি ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।
আড়তদার জাহাঙ্গীর বলেন- বাজারে লিচুর সরবরাহের উপর লিচুর দাম উঠানামা করছে। শুক্রবার লিচুর সরবরাহ কম থাকায় চায়নাথ্রি প্রকারভেদে প্রতি হাজার বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ একটি লিচুর দাম পড়ে ২০ টাকা। বেদেনা বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকায়। বোম্বাই বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায়।
তবে শনিবার লিচুর সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদার সোহরাব আলী।
তিনি জানান- শনিবার বোম্বাই ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, বেদেনা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, চায়নাথ্রি ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা, কুমিল্লা, ভৈরব, আশুগঞ্জ, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লিচু নিতে ব্যাপারীরা এই আড়তে আসছে বলে সোহরাব আলী জানান।
ভোলা ও আশুগঞ্জ থেকে আসা ব্যাপারী কায়জার মোল্লা ও মজিবর জানান- এবার লিচুর উচ্চ মূল্যের কারণে বিগত বছরের তুলনায় তাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে না। উচ্চমূল্য এবং প্রতিনিয়ত বাজার উঠানামা করার কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কয়েকজন ব্যাপারী ঝুঁকি এড়াতে লিচু না কিনেই ফিরে গেছে বলেও তারা জানান।