বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
Published : 05 Dec 2024, 12:26 PM
টানা ১০ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। সকালে দ্রুতই কুয়াশার আড়াল কেটে সূর্যের দেখা মেলায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রাও বাড়ছে উত্তরের সর্বশেষ এ জেলায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায়।
যা বুধবার সকালে ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।
তবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঝলমলে রোদ। এর ফলে জেলার খেটে খাওয়া মানুষদের জনজীবনে শীতের বিরূপ প্রভাব এখনো পড়তে শুরু করেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, “সকালে কুয়াশার সঙ্গে শীতের অনুভূতি থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকে তাপমাত্রা আরামদায়ক হয়ে ওঠে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ঠাণ্ডা বাতাস ও রাতে শীতের প্রকোপে গরম কাপড় ছাড়া থাকা যায় না।”
পঞ্চগড়ে দিনের বেলায় জেলার তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি হতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে থাকছে। তবে শেষ বিকালের পর থেকে উত্তর পশ্চিম থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় খুব দ্রুতই তাপমাত্রা কমে আসে। ফলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত জেলা জুড়ে শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আকাশ পরিষ্কার থাকায় কুয়াশা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৯টায় পর্যন্ত তাপমাত্রা কমে আসছে। এতে করে এ সময় অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দিনে-রাতে দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।