জায়েদা খাতুনদের গাড়ি পূর্ব বউবাজার গরু হাট এলাকায় যেতেই পথ আটকে দাঁড়ান ২০০-৩০০ মানুষ।
Published : 20 May 2023, 11:17 PM
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী ও বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের গণসংযোগে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে টঙ্গীর পূর্ব বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গণসংযোগে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে পথ আটকে দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ জায়েদা-জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এসময় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুর এলাকায় প্রায় একইভাবে জায়েদার গণসংযোগে বাধা দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে টঙ্গী পূর্ব থানায় আশ্রয় নেন তারা। এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় দুইজনের নাম উল্লেসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে মামলাও করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলম তার মা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে নিয়ে দুপুরে টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেন। একটি প্রাডো গাড়িতে তিঁনি ও তার মাসহ আরও কয়েকজন কর্মী সমর্থক ছিলেন। পিছনে আরেকটু দূরে মাইক্রোবাসে তাদের কয়েকজন কর্মী ছিলেন।
বিকাল ৫টার দিকে জায়েদা খাতুনদের বহনকারী গাড়িটি পূর্ব বউবাজার গরু হাট এলাকায় যেতেই হঠাৎ তাদের পথ আটকে ধরেন ২০০-৩০০ মানুষ।
গাড়ি থামিয়ে তারা আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর ও তার মাকে ভয়ভীতি দেখান তারা, প্রাডো গাড়ি ও বহরের একটি মাইক্রবাসের কাচ ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশের দুইটি গাড়ি তাদের পাহারা দিয়ে জাহাঙ্গীরের ছয়দানা এলাকার বাসায় পৌঁছে দেয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, “প্রচার চালাতে গেলেই তারা আমার ও মায়ের ওপর হামলা চালায়। আমাকে তাদের এত ভয় কিসের? আমার মা একজন প্রার্থী, তিনি কি প্রচার চালাতে পারবেন না? এ নিয়ে দুইবার হামলা চালিয়ে আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হলো, আমার কর্মীদের মারধর করা হলো।”
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “জায়েদা খাতুনের গণসংযোগের বহরটি বউবাজার হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিল। এর মাঝেই তাদের সামনে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের একটি মিছিল পড়ে। এ সময় মিছিলের কিছু উৎসুক লোক তাদের পথ আটকে দেয়। একপর্যায়ে কয়েকজন তাদের গাড়ির কাচ ভাঙে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা পুলিশি পাহারায় তাদের বাড়ি যেতে সহযোগিতা করি।”
এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি জানিয়ে ওসি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হামলা বা প্রচারে বাধা দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
পরে জাহাঙ্গীরের প্রার্থিতা বাতিল হলেও জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে মাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
আরো পড়ুন :