টঙ্গীতে জায়েদার গাড়ি ভাংচুর, মামলা দায়ের

পুলিশ জানায়, জায়েদার গাড়ির চালক বাদী হয়ে মামলা করেছেন; এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2023, 07:26 PM
Updated : 18 May 2023, 07:26 PM

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুনের প্রচারের সময় গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুরে এই হামলা হয় বলে টঙ্গী থানায় করা মামলায় অভিযোগ করা হয়।

জায়েদা খাতুনের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ও তার ছেলে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, “আমার মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি মার্কার প্রচারে টঙ্গীর ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় যান। মায়ের সঙ্গে আমিও ছিলাম। এমন সময় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে শ্লোগান নিয়ে আসা কতিপয় লোক আমার ৭০ বছর বয়সী মায়ের উদ্দেশে গাড়িতে হামলা চালায়। আমার মা এবং আমার ওপর প্রথমে ইট মেরেছে। এটা আমি মনে করি ’আমাকে ও মাকে হত্যার নীল নকশা ছিল।

সংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা দেখেন তারা কীভাবে হামলা করেছে; আল্লাহর রহমতে বেঁচে রয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরকার এবং নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চাই–এটা কী ভোট? একজন প্রার্থীকে হত্যা করার চেষ্টা করছে প্রচারণার সময়।” 

তাদের আশপাশে যারা ছিল সবাইকে মারধর করা হয়েছে দাবি করে জাহাঙ্গীর বলেন, এভাবে তো ভোট হতে পারে না, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। নির্বাচনের অধিকার সবার রয়েছে।

“আমার মা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে, তার প্রতি এত ক্ষোভ কেন? আমার প্রতি ক্ষোভ আপনাদের থাকতে পারে, আমাকে মেরে ফেলেন সমস্যা নেই। কিন্তু আমার বৃদ্ধ মাকে মারবেন না।”

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় গাড়ির চালক শুভ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থী গণসংযোগের ২৪ ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট থানায় জানাতে হবে। তবে টেবিল ঘড়ির প্রার্থী আগে কিছু জানাননি।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার সমান অধিকার রয়েছে। যদি কোথাও হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে তবে সংশ্লিষ্ট থানায় এ ধরনের ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হবে।

“এ ব্যাপারে মামলা নিতে বলেছি। প্রথমে মামলা নিতে না চাইলেও  পরে পুলিশ মামলা নিয়েছে।”