খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় বিকাল ৩টা থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
Published : 01 Oct 2024, 05:41 PM
ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদরে এক শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা পিটিয়ে হত্যার পর সেখানে পাহাড়ি ও বাঙালিদের উত্তেজনার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
“প্রাথমিকভাবে আমরা এমন তথ্য জানতে পেরেছি। এরপর দুই পক্ষে (পাহাড়ি-বাঙালি) অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”
“আমরা সব ইউএনওদের অবগত করেছি যাতে সহিংসতা ছড়িয়ে না পরে।”
নিহত শিক্ষকের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা; তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সিভিল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ইন্সট্রাকটর ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পর জেলা শহরের পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এর জের ধরে শহরের চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়ায় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ, সেনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় বিকাল ৩টা থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
বিকালে পাহাড়ি ও বাঙালিরা খাগড়াছড়ি সদরে আবার মুখোমুখি অবস্থান নেন। দুই পক্ষই মিছিল বের করে। এ সময় মহাজনপাড়া,,পানখাইয়া পাড়া সড়কে কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, “হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, “এখন ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাকর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।”