র্যাব জানায়, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
Published : 30 May 2024, 02:31 PM
কক্সবাজারের সদর এবং ঈদগাঁও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ১৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আসিফুর রহমান আসিফ (২১), মো. আব্দুল জলিল ওরফে কায়সার (২২), আব্দুল্লাহ আলম মুহিম (২৩), মো. নাহিম (২১), সাজ্জাদ মিয়া (২১), শাহরিয়াজ ওসমান হৃদয় (২০), মো. ইসমাইল উদ্দিন ওরফে গুরা মিয়া (২০), আব্দুল মালেক ওরফে মালেক (২৪), মো. পারভেজ (২৩), আব্দুল্লাহ খান (২৫), সৈয়দ হোছেন ওরফে সোনা মিয়া (২০), মো. আরিফ (২৪), সৈয়দুল করিম (২৫), আরাফাত উদ্দিন ওরফে সুজন (২১), খায়রুল বাশার ওরফে হাছান (২৬), মুজিবুর রহমান (৩৩) এবং মো. বাদল ওরফে বাহাদুর (২৮)। তারা সদর, চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আবু সালাম বলেন, বুধবার মধ্যরাতে ঈদগাঁও উপজেলার ভাদিতলা এবং সদর উপজেলার কুলিয়াপাড়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাতে ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকায় চিকনপাতা গাছের বাগানে কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গে থাকা অস্ত্রসহ ১০/১৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
“পরে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে দুইটি কিরিচ দা, একটি লোহার রড, একটি লাঠি, দুই টর্চ লাইট, এক টুকরো লম্বা রশি, নয়টি মোবাইল ফোন ও তিন হাজারের বেরি কিছু নগদ টাকা জব্দ করা হয়। “
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক বলেন, কক্সবাজার শহরের পর্যটন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের উদ্দেশে কতিপয় লোকজন সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় জড়ো হওয়ার খবর পায় র্যাব। এতে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদলের সদস্যরা দিগ্বিদিক্ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।”
“এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি ছোরা, একটি কুড়াল, একটি লোহার পাইপ, একটি কাঠের লাঠি ও একটি টর্চ লাইট। “
আবু সালাম বলেন, “গ্রেপ্তাররা সবাই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।“
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও থানায় দুইটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।