২০০৫ সালের ২ নভেম্বর রাতে ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে একজন মারা যান বলে জানান এপিপি।
Published : 17 Mar 2025, 05:25 PM
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় এক যুবককে হত্যার প্রায় ২০ বছর পর পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছে সাতজন।
সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোক্তার আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) ওয়ালিদ হাসান বাবু।
দণ্ড পাওয়ারা হলেন- উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে মো. সালাম হাওলাদার (৫০), মোহব্বত আলী মাঝির ছেলে আলমগীর মাঝি (৫৮), আব্দুল আজীজের ছেলে আব্দুল মালেক হাওলাদার (৬৬), আব্দুল মজিদ মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৫৭) এবং আলফাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. আইয়ুব আলী হাওলাদার (৫৮)।
খালাস পাওয়ারা হলেন- একই এলাকার ওসমান ফরাজি, মিল্লাত হোসেন, জাকির খলিফা, ফয়সাল, মাসুম মৃধা, মাসুদ মৃধা এবং হেমায়েত।
এপিপি ওয়ালিদ হাসান বাবু বলেন, ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই সময় রফিকুল ইসলাম নিজ দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাজারে ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
রফিকুলের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতদের গুলিতে মিজান নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলা করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়ালিদ হাসান।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের যাবজ্জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস সশ্রম কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান এপিপি ওয়ালিদ হাসান।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আহসানুল কবির বাদল।