“আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ায় আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।”
Published : 15 Dec 2024, 08:17 PM
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় এক কৃষকের বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক ফলের গাছ কেটে ফেলার এবং জমি দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মন্টুর নেতৃত্বে তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মো. শাহজামাল হাওলাদার (৫০) নামে ভুক্তভোগী ওই কৃষক ও তার পরিবারের অভিযোগ।
কালকিনির সাহেবরামপুর এলাকার আন্ডারচর গ্রামে শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। শাহজামাল ওই এলাকার আবুল হাসেম হাওলাদারের ছেলে। রোববার তিনি বাদী হয়ে ওই কৃষকলীগ নেতাসহ ছয় জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কালকিনি থানার ওসি মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, “গাছ কাটার ও জমি দখলে নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অপরদিকে রোববার সকালে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় লোকজন।
এ সময় শাহজামাল হাওলাদার, মো. ইসমাইল, আলমগীর হাওলাদার, মো. সোনা মিয়া সরদার, এমদাদুল হক, রাশিদা বেগম ও কমলা বেগমসহ প্রায় অর্ধশত লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক শাহজামাল বলেন, তিনি আন্ডারচর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিনের কাছ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে ২০ শতাংশ জমি কেনেন। এরপর থেকে ওই জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ রোপন ও চাষাবাদ করে আসছেন। শনিবার রাতে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মন্টুর নেতৃত্বে মিজু, মাহাবুল, সাবেত, শহিদুলসহ বেশ কয়েকজন তার জামির প্রায় শতাধিক ফলের গাছ কেটে ফেলে। তারা তার চাষ করা জমিও দখলে নিয়েছে।
এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে কৃষকলীগ নেতা মন্টু, মিজু, মাহাবুল, সাবেত, শহিদুলসহ ছয় জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে শাহজামাল জানান।
ভূক্তভোগী শাহজামাল হাওলাদার কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, “আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ায় প্রভাবশালীরা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।”
স্থানীয় মো. সোনা মিয়া সরদার ও এমদাদুল হকসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, মন্টু বাহিনী অনেকের জমি দখলে নিয়েছে। তারা এর বিচার চান।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষকলীগ নেতা মন্টু বলেন, “আমরা কাগজের পক্ষে আছি।”