“কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘলা; তার ওপর সূর্যের দেখা নেই।”
Published : 08 Jan 2025, 03:44 PM
তাপমাত্রা বাড়লেও হিমশীতল ঠান্ডা কনকনে বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে।
গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। এর আগেরদিন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার সকালে থেকে জেলায় তেমন কুয়াশা নেই। তবে আকাশ মেঘলা; বইছে হিমেল বাতাস। তাপমাত্রা বাড়লেও হিমেল বাতাসের কারণে শীত অনূভুত হচ্ছে বেশি।
জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে শীতে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষরা কাহিল হয়ে পড়েছেন। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। তবে শ্রমজীবীরা কাজের সন্ধানে ছুটছেন শীত উপেক্ষা করেই।
রাস্তায় লোকজন না থাকায় অনেকটাই শূন্য ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। তবে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি।
শহরের কথা হয় স্থানীয় সংবাদকমী আলমগীর জলিল তালকুদারের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, “হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা একটু বেশি মনে হচ্ছে। কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘলা; তার ওপর সূর্যের দেখা নেই।”
জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের উত্তর বলরামপুর গ্রামের ফিরোজ হোসেন বলেন, “পৌষ মাসে এমন হিমেল বাতাস এর আগে কোনোদিন দেখিনি। হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডার অনুভুতি বেশি বেড়ে গেছে।”
আবহাওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, “তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে। বুধবার সকাল থেকে যেহেতু রোদ নেই; হিমেল বাতাস বয়ে চলেছে তাই শীত বেশি মনে হচ্ছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে হাল্কা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।”