গোপালগঞ্জে ‘পানি না পেয়ে’ চেয়ারম্যানকে জুতা পেটার অভিযোগ

“হঠাৎ কামরুল জুতা দিয়ে আমার পিছনে আঘাত করে চলে যায়।”

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2023, 12:05 PM
Updated : 2 May 2023, 12:05 PM

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় পাইপ লাইনে পানি না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে এক গ্রাহকের বিরুদ্ধে। 

দুদিন আগে উপজেলার খালেক বাজারে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার অভিযোগ দিয়েছেন বলে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান জানান। 

ঘটনার পর থেকে কুশলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং খালেক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম পলাতক আছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৫০০  গ্রাহককে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৫০০ টাকা বিল দিচ্ছেন গ্রাহকরা। তবে কামরুল ঠিকমত পানি পাচ্ছেন না। 

বিষয়টি কামরুল চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনকে কয়েকবার অবহিত করেন। কিন্তু এতে কোনো সমাধান হয়নি। রোববার সন্ধ্যায় খালেক বাজারে কামরুলের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কামরুল জুতা খুলে ইউপি চেয়ারম্যানকে আঘাত করেন। তখন স্থানীয়রা কামরুলকে শান্ত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান বাড়ি চলে যান।

এ ব্যাপারে কামরুল ইসলামের স্ত্রী লাইজু বেগম বলেন, “চেয়ারম্যানকে জুতা পেটা করা হয়নি। তিন মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনে সরবরাহকৃত পানি আমরা পাচ্ছি না। পানির কষ্টে আমদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ নিয়ে কামরুলের বাক-বিতণ্ডা হয়েছে।

“এ ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ভাই জাহাঙ্গীর সরদারের ছেলে হৃদয়সহ ১০-১৫ জন আমাদের দোকানের সামনে থাকা কয়েকটি ব্যানার, ফেস্টুন ভাঙচুর করে। এ ছাড়া আমার স্বামী ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।“ 

ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার বলেন, “রোববার সন্ধ্যায় আমি গাড়ি থেকে নেমে এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কামরুল জুতা দিয়ে আমার পিছনে আঘাত করে চলে যায়। পরে আমিও বাড়ি চলে আসি। 

“আমার লোকজনকে এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছি। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে বিভিন্ন রকম কিচ্ছা-কাহিনী রটাচ্ছে।” 

তবে পানির সরবরাহ মিটারে সমস্যা ছিল উল্লেখ করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “এ কারণে কিছু কিছু এলাকায় পানি সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। তিন লাখ টাকায় নতুন মিটার কেনা হয়েছে। এখন পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসছে।” 

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান বলেন, কামরুল ইসলামকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।