ফেনী মডেল থানা ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ব্যাপারে জানতে জিএমকে থানায় আনা হয়েছে।
Published : 17 Oct 2024, 10:57 PM
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
এ ঘটনায় ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে বিকালে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী ওয়ালী উল্ল্যাহ বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরেই গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চলেছে। এ প্রেক্ষাপটে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দেয়।
“কয়েকজনকে গ্রেপ্তার এবং ১০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফেনীতে বেলা ৩টা থেকে আমরা ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি শুরু করি।”
এদিকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় দুর্ভোগে পড়েন জেলার চার লাখ গ্রাহক। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিলো। পরে বিক্ষুব্ধ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জুনিয়র প্রকৌশলী ওয়ালী উল্ল্যাহ বলেন, “বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের বিষয়ে জানতে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম হাওলাদার মো. ফজলুর রহমানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। বিকাল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সাদা পোশাকে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসে তুলে ফেনী মডেল থানায় নিয়ে যান।
“পরবর্তীতে আমরা থানায় এসে গত কয়েক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলেও এখনো কিছু জানতে পারিনি।”
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী তাহমিদ উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ফেনীর ছয় উপজেলায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হচ্ছে।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হাসান বলেন, সাড়ে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানা ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ব্যাপারে জানতে জিএমকে থানায় আনা হয়েছে। তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে। বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”