জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলাকালেই কর্মচারিরা ২৬টি সাব স্টেশন বন্ধ করে দেয়।
Published : 17 Oct 2024, 09:02 PM
ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি ও মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে সিলেটে প্রায় তিন ঘণ্টা ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি করেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ফলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন আট উপজেলার প্রায় চার লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক।
সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মুনতাসীর মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, "বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমার আওতাধীন ২৬টি সাব স্টেশনের সবকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়।"
সিলেট পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা জানান, নিম্নমানের মিটার ও মালামাল ক্রয়, লোকবল সংকট, অনিয়মিত কর্মকর্তাদের নিয়মিত করাসহ কিছু দাবি নিয়ে কয়েকদিন ধরে তারা আন্দোলন করছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে গঠিত একটি কমিটি কাজ করছিল।
এর মধ্যে বুধবার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদার কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আরও কয়েকজনকে মামলার আসামি করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকে সিলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন।
পরে বিকালে বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আলোচনা চলাকালেই কর্মচারিরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন ২৬টি সাব স্টেশন বন্ধ করে দেয়।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ফেঞ্চুগঞ্জ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় পুরোপুরি ‘শাটডাউন’ করে দেওয়া হয়।
আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন পাঁচটি উপজেলায় পুরোপুরি শাটডাউন করা না হলেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বিভিন্ন এলাকা। লোডশেডিংও ছিল দিনভর।