মামলার এজাহারে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 01 Jan 2024, 09:01 PM
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির নির্বাচনি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মাহির পক্ষে তার মামাতো ভাই জাহিদুল ইসলাম রোববার রাতে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে ওসি আব্দুল মতিন জানান।
মামলার এজাহারে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল, দেওপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি ও প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজের ল্যাব-সহকারী রিজওয়ান, দেওপাড়া ইউপি ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রতন আলী, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও গোদাগাড়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সালমান ফিরোজ ফয়সাল ও রাজাবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশিদ বাবু।
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে টানা পঞ্চমবারের মত নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী।
আর মাহিয়া মাহি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের নৌকার মাঝি হতে চাইলেও দলের মনোনয়ন পাননি। এরপর রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে লড়ার ঘোষণা দেন।
প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে মাহিয়া মাহি বললেন, লড়াই হবে ‘হাড্ডাহাড্ডি’
ট্রাক প্রতীক চেয়ে নিলেন মাহিয়া মাহি
মাহির নির্বাচনি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, দাদ্বশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া মাহি এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। তার প্রচারের সুবিধার জন্য নির্বাচনি এলাকা রাজশাহী-১ আসনে ট্রাক প্রতীকের একাধিক নির্বাচনি অফিস রয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর রাত সোয়া ২টার দিকে গোদাগাড়ী থানার ভাগাইল সেলিম মার্কেটে মাহির নির্বাচনি অফিসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা অগ্নিসংযোগ করে অফিস পুড়িয়ে দিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। পরে মাহির অনুসারীদের নির্বাচনি প্রচার না করতে এবং নির্বাচনের দিন ট্রাক প্রতীকে ভোট না দেওয়ার হুমকি দিয়ে গালাগাল করে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
মামলায় আরও বলা হয়, এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে পালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাহির প্রচারের সময় আসামিরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে আসামিদের সঙ্গে মাহির লোকজনদের কথা কাটিকাটি হয়। তখন আসামিরা ফোন করে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনদেরকে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। পরে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ওসি আব্দুল মতিন বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।