মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর একদিন পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে আবার গোলার শব্দ শোনা গেছে।
সোমবার রাতে সীমান্তের কোনাপাড়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের পাশে এই শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দলনেতা (মাঝি) দিল মোহাম্মদ।
দিল মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের পাশে পাঁচটি মর্টারের গোলার শব্দ শুনেছেন।
“তবে রাত হওয়ায় ঠিক কোন জায়গায় কী ঘটেছে আর জানা যায়নি।”কক্সবাজার বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি তুমব্রু সীমান্তে মর্টারের গোলার শব্দ তারাও শুনতে পেয়েছেন।
রোববার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে তমব্রু সীমান্তের হেডম্যান পাড়ার যুবক অন্ন্যাই তংচঙ্গা (২৮) গুরুতর আহত হয়েছিলেন। মাইন বিস্ফোরণে তার এক পা উড়ে যায়।
মিয়ানমারে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাস, সেখানে নিপীড়নের শিকার হয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। পালিয়ে সীমান্তের শূন্য রেখায়ও আশ্রয় নিয়ে আছে এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি দল।
সম্প্রতি রাখাইনে নতুন করে সংঘাত দেখা দেওয়ার পর বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেল ও গোলাবর্ষণে হতাহতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি পাঠায় শূন্যরেখায় অবস্থানরত এই রোহিঙ্গারা।
ওই বছরই সে দেশ থেকে পালিয়ে এসে ৬২১টি পরিবারের চার হাজার ২০০ রোহিঙ্গা এখনও তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া শূন্যরেখায় অবস্থান করছে।
মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে বারবার গোলাগুলির কারণে আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অতঙ্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন:
মিয়ানমার থেকে গোলা আসা বন্ধ না হলে জাতিসংঘে তুলব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারের গোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, হতাহতের খবর
বান্দরবান সীমান্তে এবার পড়ল মিয়ানমারের যুদ্ধবিমানের গোলা: পুলিশ
সীমান্তে গোলা: চতুর্থবার তলব মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে
মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবিতেই আস্থা রাখছে সরকার
মিয়ানমার সীমান্তে সারাদিন গুলির শব্দ, আতঙ্কে বাসিন্দারা
সীমান্তে বিস্ফোরণ: পা ‘হারাতে বসা’ যুবকের সঙ্গে ‘দিশেহারা’ পরিবারও
তুমব্রু এখনও থমথমে, ঘুমধুমে পতাকা বৈঠক
তুমব্রু সীমান্তের ওপারে সারাদিন মুহুর্মূহু গুলি, এপারে আতঙ্ক