মিয়ানমার থেকে গোলা এসে পড়া এবং হতাহতের ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে চতুর্থবারের মত তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে রোববার সকালে ডাকা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাজমুল হুদা রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে আসা গোলা সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরিত হয়ে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। ওইদিন সকালেই ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ‘মাইন’ বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবকের পা উড়ে যায়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাখাইনদের সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘাতের মধ্যে এর আগেও সীমান্তে গোলা এসে পড়েছে।
মিয়ানমার বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি জানাচ্ছে, রাখাইনদের সংগঠন আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বোমা বর্ষণ করে।
সংঘাতের মধ্যে গত ২৮ অগাস্ট দুপুরে বান্দরবানের ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে।
এরপর ৩১ অগাস্ট রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মংডু শহরতলীতে আরাকান আর্মির সদস্যরা একটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে হত্যা করে বলে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়। আরাকান আর্মির দখলে নেওয়া পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিতে সেনাবাহিনী এগোচ্ছিল বলে তাতে জানানো হয়।
এর মধ্যে ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টারে গোলা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে এসে পড়ে।
এসব ঘটনায় ২১ অগাস্ট, ২৮ অগাস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তিন দফা ডাকা হয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সবশেষ রোববার সকালে রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মো-কে ডাকা হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।