ফরিদপুর সদরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিএন্ডবি ঘাটের আইজুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গিতে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিল।
এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের নৌকার পরাজিত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আবু ফকির বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বরাতে পুলিশ জানায়, “বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফকিরের নির্দেশে ২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবু ফকিরের একটি ভেকু মেশিন ও একটি ড্রাম্প ট্রাকের ভাংচুর করে। এ সময় তারা ভেকু চালক লুৎফর পিটিয়ে জখম করে।
“এরপর তার ভাতিজা রাজা ফকিরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়ির ভেতরে ঢুকতে না পেরে হামলাকারীরা দরজা ভাংচুর করেন।”
হামলায় মিন্টু ফকিরের সহযোগী আলমাস ফকির (৪০), আলমগীর ফকির (৩৫), জাহাঙ্গীর ফকির, ছাব্বির ফকির (৩০), সোহান ফকির (৩০), সুমন ফকির (৩০), নাইম বিশ্বাস (৩০), নাজমুল (৩০), ওবায়দুলসহ অনেকেই অংশ নেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলা শিকার রাজা ফকির বলেন, “তারাবির নামাজ শেষে বাড়ির গেটে বসে আছি। এ সময় একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রথমে ভেকু ও ট্রাক ভাংচুর করে। পরে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।
“হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির গেটে কোপাতে থাকে। আতঙ্কে ঘরের ঢুকে পড়ি। পরে আশেপাশের লোকজন এলে হামলাকারীরা চলে যায়।”
রাজা ফকিরের স্ত্রী মাহফুজা ইসলাম বলেন, “হামলাকরীরা আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাড়ি থেকে বের হলে খুনের হুমকি দেয়।”
রাজা ফকিরের মা বলেন, “এর আগেও একবার আমার ছেলেকে ওরা মেরে হাত ভেঙে দিয়েছিল। এবার নির্বাচনে জেতার পর বাড়িতে এসে আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেল।”
অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টু ফকির বলেন, “তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।”
ওসি আব্দুল জলিলের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।