শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কর্মকর্তা।
Published : 18 Nov 2023, 10:54 AM
চাঁদপুর থেকে দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা পর সব রুটে লঞ্চ ও নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কেটে যাওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে এই চলাচল শুরু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহণ কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চাঁদপুর থেকে সব রুটে লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে চাঁদপুর সব রুটে লঞ্চ ও নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়মিত লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে।”
এদিকে মিধিলির প্রভাবে চাঁদপুর শহরে বিঘ্নিত হওয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাতাসের গতি বেড়ে যায়। যার ফলে এই সড়কে গাছ উল্টে পড়ে সড়কে এবং একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে। এদিন দুপুর থেকেই এই সড়কে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
শহরের গুয়াখোলা এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, “শুক্রবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যায়। যে কারণে এলাকার বিদ্যুতের মেইন লাইনের তার ছিড়ে ঝুলে পড়ে। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে তাৎক্ষণিক জানানো হয়।”
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মোকতাদির জানান, “ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেশ কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতেই কয়েক স্থানে মেরামত করে লাইন চালু করা হয়।
“শনিবার বাকি লাইনগুলো দেখে এবং ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করা হবে।”
এ ছাড়া মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার তোড়ে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক ও পুরানবাজার সেতু সংলগ্ন এলাকায় গাছ উল্টে সড়কে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আল মামুন বলেন, “গাছ উল্টে সড়কে পড়লে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাছটি কেটে অপসারণ করা হয়। এরপর সড়ক চলাচল স্বাভাবিক হয়।”
এদিকে মিধিলির প্রভাব কেটে যাওয়ায় শনিবার ভোরেই সূর্যের আলো দেখা গেছে। স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে জনজীবন।
শনিবার সকালে চাঁদপুর আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম জানান, শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৯ মিলিমিটার। ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্তই রেকর্ড হয় ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি।