পৌরসভা সড়কে চলাচল করার জন্য ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে; তারপরও অসংখ্য অবৈধ ইজিবাইক চলাচল করছে, বলেন জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট।
Published : 24 Jan 2025, 06:10 PM
ঠাকুরগাঁও শহরে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের কারণে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে শহরবাসীর।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভা থেকে পাওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা গেছে, পৌরসভা এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ইজিবাইক চলাচল করছে। এর মধ্যে ৮ হাজারই লাইসেন্সবিহীন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানোর দাবি পথচারীসহ স্থানীয়দের।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রশাসক বলছেন, যানজট নিরসনে তারা অনুমোদন দেওয়া ইজিবাইকের জন্য স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করছেন। যেসব ইজিবাইকের অনুমোদন নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
পৌর শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল বলেন, “অদক্ষ চালকরা শহরজুড়ে অবৈধ ইজিবাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।”
পথচারী নাসরিন আক্তার বলেন, “যেখানে-সেখানে অটোরিকশাগুলো পার্কিং করা হচ্ছে। এতে করে শহরজুড়ে যানজট বাড়ছে। শান্তিপ্রিয় ঠাকুরগাঁও শহর এখন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। এসব অবৈধ অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে।”
অবৈধ ইজিবাইকের কারণে পৌরবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানোর দাবি তাদেরও।
অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদিন বলেন, “ঠাকুরগাঁও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সড়কে অটোরিকশা চলাচলের জন্য ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। আমাদের দাবি, পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা স্ট্যান্ড করে দিক। তাহলে আমরা রাস্তায় না দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ডে দাঁড়াব।”
ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাহুল আহমেদ বলেন, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি, শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে। পৌরসভা সড়কে চলাচল করার জন্য ইজিবাইকের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। তারপরও অসংখ্য অবৈধ ইজিবাইক চলাচল করছে।”
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, “যানজট নিরসনের জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেইসঙ্গে অনুমোদন দেওয়া ইজিবাইকের জন্য আমরা স্ট্যান্ড করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর যেসব ইজিবাইকের অনুমোদন নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”