অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এক নারীকে ১৩ বছর ও তার মেয়েকে তিন বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।
Published : 19 Nov 2024, 09:27 PM
প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় মাকে ১৩ বছর এবং মেয়েকে তিন বছরের সাজা দিয়েছে বরিশালের একটি আদালত।
মঙ্গলবার বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মাসুদুর রহমান আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ আদেশ দেন বলে জানান আদালতের কর্মচারী মো. মেহেদি হাসান।
দণ্ড পাওয়ারা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয়নন্দি এলাকার আলমগীর হাওলাদারের স্ত্রী জাহিদা বেগম ওরফে সাহিদা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ওরফে সুরাইয়া।
আদালতের কর্মচারী মো. মেহেদি হাসান জানান, সাহিদা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া মুলাদী পৌরসভার চরডিক্রি এলাকার একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে গোডাউন রোডের দেশবাংলা ফার্নিচারের মালিক আবুল কালামের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়।
“মা ও মেয়ে কালামকে জানান, সাহিদার ছেলে বিদেশে থাকে। তারা মুলাদী-হিজলা সেতুর পাশের এলাকায় ১০০ একর জমি কিনতে বায়না করেছেন। সেখানে ছেলে চালের মিল দেবে। বায়নার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে দলিল করতে হবে। এ জন্য টাকা প্রয়োজন।
“২০২০ সালে ১২ নভেম্বর মা ও মেয়ের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে কালাম বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা ধার করে তাদেরকে দেন। এ জন্য তারা কালামকে ১০০ টাকার তিনটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি সমপরিমাণ টাকার চেক দেয়।”
মেহেদি হাসান বলেন, মা ও মেয়ের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে কালাম তাদের দেওয়া চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন, চেকের মালিক সুমাইয়া। তবে স্বাক্ষর আছে তার মায়ের।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৩ জুন কালাম মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণার মামলা করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মা জাহিদা বেগমকে ১৩ বছর কারাদণ্ডসহ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও ১৮ মাস কারাবাসে থাকতে হবে।
এ ছাড়া মেয়ে সুমাইয়াকে তিন বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস কারাবাসে থাকতে হবে।