২৪ ঘণ্টায় জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে ২০০ মিলিমিটার এবং দুর্গাপুরে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
Published : 04 Oct 2024, 06:04 PM
টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোণার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উব্ধাখালি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁইয়ের পাশাপাশি কংসের পানি দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছে নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণার জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে ২০০ মিলিমিটার এবং দুর্গাপুর উপজেলায় ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে সোমেশ্বরী, উব্ধাখালি, কংস ও ধনু নদের পানি বেড়েই চলেছে।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উব্ধাখালি নদীর পানি বেড়ে কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার এক দশমিক শূন্য পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
এ ছাড়া কংশ নদের পানি বেড়ে জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। বৃহস্পতিবার থেকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমা ছাড়িয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে পারে।
এ ছাড়া সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি বেড়ে খালিয়াজুরী পয়েন্টে বিপৎসীমার দুই দশমিক শূন্য নয় সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।
কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঁচগড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেরা খাতুন। তিনি বলেন, “আমরার এইহানে কাইল থেইক্যা মেলা বৃষ্টি অইতাছে। হারা রাইতই বৃষ্টি অইছে। অহনও অইতাছে। উব্ধাখালি নদীর পানি আইজ (শুক্রবার) দুপুরের দিকে আমরার এইহান দিয়োপাড় ঢুবাইয়া ফালাইছে।
“পানি আয়ন আরম্ভ অইয়া গেছে। বাড়ির কাছাকাছি আইয়া পড়ছে। কোন সময় যে বাড়ির ভিতরে ঢুইক্যা পড়ে ঠিকঠিহানা নাই।”
একই উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া গ্রামের বাসিন্দা মনতোষ বিশ্বশর্মা বলেন, “বৃষ্টি আর নদীর পানি এক তালে বাইড়া চলছে। মনে অইতাছে আইজ রাইত আমরার এলঅকায় পাপনি ঢুইক্যা যেইতে পারে।
“এর আগে দুই দফায় বন্যা আইছে। যেভাবে বৃষ্টি অইতাছে, এর লাইগ্যা ঘর থেইক্যা বাইর অয়ন যাইতাছে না। দুর্ভোগের মধ্যে আছি।”
এর আগে জুন ও জুলাইয়ে দুই দফায় নেত্রকোণার সাতটি উপজেলা বন্যার কবলে পড়ে।