“আনুমানিক রাত আড়াইটা- তিনটার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
Published : 16 Feb 2025, 12:31 PM
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার ভোরে পুলিশ সদস্যের ভাড়া বাড়ির সিলিং ফ্যানে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায় বলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান।
মৃত অনুপম কুমার ঘোষ (২৬) বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপুর খরমখালি গ্রামের আশীষ কুমার ঘোষের ছেলে।
তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং রসুলপুর এলাকায় একটি বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডিউটি অফিসার এ বি এম আক্তার মারুফ বলেন, “রোববার ভোর ৩টার দিকে এএসআই জাহিদ পরিচয়ে এক ব্যক্তি অনুপমকে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
পরে হাসপাতালের এন্ট্রি বই থেকে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সের এএসআই জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি অনুপমকে হাসপাতালে ভর্তি করেননি। তবে ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।
তাহলে হাসপাতাালের এন্ট্রি বইয়ে তার নম্বর এলো কি করে? প্রশ্ন কনা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলছেন, “অনুপমের কোনো সন্তান নেই। তিনি জেলা পরিষদের উত্তর দিকে ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। সেখানে আনুমানিক রাত আড়াইটা-তিনটার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
তবে সাতক্ষীরার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডিউটি অফিসার মারুফ বলছেন, “ভিক্টিমের গলায় কোনো দাগ প্রাথমিকভাবে আমরা দেখিনি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”
অনুপমের বাবা আশীষ ঘোষ বলেন, “আমার ছেলে অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র ছিল। দুই-ভাই বোন তারা। সন্তানের মৃতদেহ গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা যাব।”