“তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।”
Published : 06 Aug 2024, 03:59 PM
কুষ্টিয়ায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সহিংসতায় অন্তত আটজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন কয়েক’শ মানুষ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী প্রায় দুই শতাধিক আহত ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে ১৩৩ জন ভর্তি হয়েছে।
“এছাড়া তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আর পাঁচজন চিকিৎসাধীন অবস্থায়সহ মোটআট জনের মৃত্যু হয়েছে।”
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা উসাম্মা (১৫), সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের স্বর্ণকার আশরাফুল (২৫), শালদাহ গ্রামের বাবু (১৩), হরিপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক বাবলু মিস্ত্রী (৫০), শহরের থানাপাড়া এলাকার যুবক সবুজ (২৮) ও ভেরামারার যুবক জিয়া (৪২)।
এর আগে সোমবার সকালে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সাধারণ জনতার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও শটগানের গুলি ছোড়ে।
তখন স্প্রিন্টার ও রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে কয়েক’শ মানুষ আহত হয়।
ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মুখে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সদস্যরা থানা থেকে বেরিয়ে চলে যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানে লুটপাট শুরু হয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর লুটপাট চালাতে দেখা যায়।
এ সময় জেলায় কোন আইনশৃংখলা বাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম চালু না থাকায় এসব ঘটনার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।