১৯৯৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারি চাকরি শুরুর পর দীর্ঘ ৩০ বছর চার মাস একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন আবুজার গাফ্ফারী।
Published : 16 Jun 2024, 01:49 AM
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার মহান ব্রত পালনে কাটিয়েছেন জীবনের ত্রিশটি বছর। তার পাঠদানে আলোকিত অনেকেই এখন সমাজে নানা অঙ্গনে আলো ছড়াচ্ছেন।
কিন্তু সময়ের আহ্বানে ৮০ নং তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসর নিতে হয়েছে আবুজার গাফ্ফারীকে। তবে নিজেদের জীবনে শিক্ষকের অবদানকে ভুলতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।
তাই তার কর্মময় জীবনের শেষে আনুষ্ঠানিক বিদায়ে রাজসিক আয়োজন করেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
১৯৯৪ সালে ২ ফেব্রুয়ারি চাকরি শুরু পর দীর্ঘ ৩০ বছর চার মাস একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন ৫৯ বছর বয়সী আবুজার গাফ্ফারী। দীর্ঘ এ সময়ে তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সবক্ষেত্রে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
আর সে কারণেই গুণী ওই শিক্ষকের অবসরজনিত বিদায়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের।
স্বর্ণাক্ষরে লেখা সম্মাননা স্মারকসহ হরেক রকম উপহার প্রদানের পর ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে।
শনিবার সকাল ১১টায় তেঁতুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ মেহেদী হাসান সুমন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী পবিত্র স্বর্ণকার ও সেলিম আহম্মেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ইকবাল আলম বাবলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা শওকাত আফি, তারালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রসাদ কুমার সরকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক আবুজার গাফ্ফারীর কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, নলতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি এসএম গোলাম রহমান, বিটিজিআর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তফা কামাল লাচ্চু, প্রধান শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সাধন স্বর্ণকার, ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা আবুল কাশেম গাজীসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী শান্ত বলেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে অ্যাকাডেমিক শিক্ষা জীবনের প্রথম ভিত্তি। এখানে একজন প্রধান শিক্ষক হচ্ছে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের অভিভাবক। তার এমন রাজসিক বিদায় তার জন্য যতটা সম্মানের আমাদের সবার জন্যও ততটা সম্মানের। ”