Published : 22 Nov 2024, 12:38 AM
অনিয়ম, দুর্নীতি ও ছাত্র আন্দোলনে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মাস্টার রোলে চাকরি পাওয়া ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া একই অভিযোগে সিটি করপোরেশনের দুই কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পাওয়া প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর কয়েক ধাপে এসব নির্দেশনা জারি করেন।
১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে সিটি করপোরেশনের মাস্টার রোলে নিয়োজিত ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তারা সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কর্মচারী ও আওয়ামী লীগের পদে ছিলেন।
এর বাহিরে সিটি করপোরেশনের ১৭ স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ২১ অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করেছে প্রশাসক।
স্থায়ী কর্মরতদের মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর ১৬ জনকে ও ১২ নভেম্বর তিনজনকে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়। আর অস্থায়ী কর্মরতদের মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর নয়জনকে এবং ১২ নভেম্বর ১২ জনকে শোকজ করা হয়। সেইসঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে শোকজের জবাব চাওয়া হয়েছিল।
শোকজ পাওয়া স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাইদ, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এ বি এম আসাদুজ্জামান সুইট, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নিজামুল হোদা, জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিশু, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, সাবেক মেয়র লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী এবং সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা বিপুল কুমার সরকার, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা (বাজার) আবুল বাশার মাহমুদ মো. তাজউদ্দীন, অডিটর সাখাওয়াত, আদায়কারী এ কে এম আবু সাকের, মিলন আকতার, সাগর দাস, মনিরুজ্জামান মনির, মাসুক আলম খান সুমন, সুলতান আলী, দপ্তরি আজহার আলী, এম এল এস মাহমুদন্নবী এবং ইসমাইল হোসেন রনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাইদ বলেন, “আমি একটা অভিযোগের চিঠি পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছিল। আমি লিখিত জবাবও দিয়েছি।”
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, অস্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে যারা শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ করেছেন, তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারও কারও কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক না হওয়ায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অস্থায়ী কর্মচারীরা দৈনিক মজুরি ভিত্তিক, কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন না হলে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে পারে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া স্থায়ী কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এবং শোকজে তাদের বিরুদ্ধে অনা অভিযোগের বর্ণনা দেওয়া আছে বলে জানান সিটি করপোরেশনের এই প্রশাসক।