রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ ও ভারতের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রেক্ষাপটে দুই মাস বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবার ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে এক হাজার টন গম এই স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার গমগুলো বন্দর থেকে খালাসের কাজ শুরু করবে বলে আতিকুল জানান।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, গত ৩০ মের পর গমের আর কোনো চালান আসেনি আখাউড়া স্থলবন্দরে। ফলে আটকা পড়ে এলসি খোলা ১৪ হাজার টনেরও বেশি গমের চালান। সম্প্রতি সড়ক ও রেল যোগাযোগ সচল হয়। এর ফলে সোমবার বিকালে ৪০টিরও বেশি ট্রাকে করে আখাউড়া স্থলবন্দরে আসে এক হাজার টন গম।
তিনি জানান, গমগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের শারদা ট্রেডার্স এবং কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করেছে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আক্তার হোসেন আরও জানান, “প্রতি টন গম আমদানি হয়েছে ৩৫৫ মার্কিন ডলারে। যেহেতু টাকার বিপরীতে ডলার মান বেড়ে গেছে, তাই গমের দাম বাজারে খুব একটা কমবে না।”
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম জানান, শুল্কমুক্ত হওয়ায় গম আমদানিতে স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ কোনো শুল্ক পায়নি। তবে প্রতিটি গমের ট্রাক থেকে বন্দরে প্রবেশ ফি ও অবস্থান ফি পাবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ
রাশিয়া ও ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর দেশ দুটি থেকে গম আসা বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ায়।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১৪ মে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।
তখন দেশটি জানিয়েছিল, নিষেধাজ্ঞার আগে যারা এলসি খুলেছে এবং যেসব দেশ ‘জরুরি খাদ্য চাহিদা মেটাতে’ গম সরবরাহ করতে অনুরোধ করবে তাদের গম দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: