ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে, হিলিতে কমেছে গমের দাম

দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২২ ট্রাক গম বন্দরে প্রবেশ করছে।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2022, 03:11 PM
Updated : 31 July 2022, 03:11 PM

আগে খোলা এলসির গম ভারত থেকে আসা অব্যাহত থাকায় হিলি স্থলবন্দরের পাইকারিতে দাম প্রতি কেজিতে প্রকারভেদে ছয় থেকে সাত টাকা কমেছে।

দিনাজপুরের এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২২টি ট্রাকে করে গম বন্দরে ঢুকছে। গত কয়েকদিন থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলির পাইকারি গম ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, “আমদানি বাড়ায় বন্দরে গমের দাম কমে গেছে। এখন প্রতি কেজি গম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এর আগে আমদানি বন্ধের পর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪২ টাকায়।”

রাশিয়া ও ইউক্রেইন যুদ্ধের পর দেশ দুটি থেকে গম আসা বন্ধ হয়ে গেলে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ায়।

তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গমের উৎপাদন কম হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১৪ মে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত।

তবে দেশটি তখন জানিয়েছিল, নিষেধাজ্ঞার আগে যারা এলসি খুলেছে এবং সেসব দেশ ‘জরুরি খাদ্য চাহিদা মেটাতে’ গম সরবরাহ করতে অনুরোধ করবে তাদের গম দেওয়া হবে।

পরে পুরনো এলসির গম আমদানির অনুমতি পেলে গত ২৯ মে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় আমদানি।

এরপর থেকে গম আসতে শুরু করায় ধীরে ধীরে দামও কমতে শুরু করে। সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়ায় দ্রুত কমে আসে গমের দাম।

হিলির পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, প্রথম দিকে আমদানির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও এখন তা বেড়েছে। বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২২ ট্রাক গম বন্দরে প্রবেশ করছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানান, আগের আরও অনেক গম আমদানির বিপরীতে এলসি আছে সেগুলোর সব অনুমতি পেলে আরও প্রচুর গম আমদানি হবে। তখন দাম আরও কমবে।

তিনি জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগের করা এলসির সব গম আমদানি করতে তারা ভারতের রপ্তানিকারকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন।

নতুন করে গম আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি পেলে দাম আরও কমে আসবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

দেশে বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশি জোগান ছাড়াও বেসরকারিভাবে প্রায় ৫৩ লাখ টন গম আমদানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন।