কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন।
Published : 26 Apr 2024, 12:41 AM
দলীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রথম দফায় অনুষ্ঠেয় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই করছেন বিএনপি নেতা মো. নাজমুল আলম। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। এর আগে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নাজমুল জেলা কমিটির পাশাপাশি সদর উপজেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়কের পদেও রয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নাজমুল এর আগে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নাজমুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে তার বিরুদ্ধে ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ আনা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “চিঠিটি নাজমুল আলমের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মৌখিকভাবে ও ভার্চুয়ালিও তাকে অবহিত করা হয়েছে।”
জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাজমুল আলমের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মোটেই উচিৎ হয়নি। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।”
এ ব্যাপারে নাজমুল আলম বলেন, “৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি তৃণমূল জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছি। সেই মানুষদের জন্যই কিছু করার ইচ্ছা নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন অংশ নিতে জনগণের চাপ ও ইচ্ছার প্রতিও সম্মান জানিয়েছি।”
কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে নাজমুল বলেন, “দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। তবে আশা করি, কেন্দ্রীয় বিএনপি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের চাওয়া-পাওয়া এবং তাদের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততাকে আমলে নিয়ে বিবেচেনা করবেন।
“আমিও উত্তরে এ কথাটা বিএনপির নেতৃত্বকে বুঝাতে চেষ্টা করব। তারপরও দল যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি মেনে নেব। আমি বিএনপিতে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব”, বলেন বিএনপি নেতা।