সিলেট ও সাতক্ষীরায় দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের মৃত্যু

সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কে উপজেলার গৌরীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কে ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।

সিলেট ও সাতক্ষীরায় আলাদা তিন দুর্ঘটনায় পিতাপুত্রসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাতের ভাগে সড়কে ঝরেছে এসব প্রাণ; যার মধ্যে সাতক্ষীরার দুটি ‍ছিল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

আর সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় পাথরবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী অটোরিকশার সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুইজনের। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার গৌরীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান।

নিহতরা হলেন- ছাতক উপজেলার লুবিয়া গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হারুনুর রশিদ (৪০) এবং নেত্রকোণার কমলাকান্দা উপজেলার বিশরপাশা গ্রামের রনোজিৎ সাহার ছেলে পার্থ সাহা (২৩)।

পার্থ উপজেলার দয়ার বাজারে থাকতেন।

আহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জের নয়াগাঙ্গের পাড় গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৪০), দুর্ঘটনায় নিহত হারুনুর রশিদের ভাই নয়ন মিয়া (২৫), সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার এখলাছ মিয়া এবং অটোরিকশার চালক লিমন (২২)। তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানান, সিলেটগামী পাথরবাহী ট্রাকটির সঙ্গে সংঘর্ষে অটোরিকশার ছয় যাত্রী আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ট্রাক ও অটোরিকশা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে জানিয়ে ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, জেলার সদর উপজেলায় পৃথক দুই বাইক দুর্ঘটনায় পিতাপুত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত নজরুল ইসলাম বলেন, দুপুরে বাইপাস সড়কে দুর্ঘটনায় এক যুবক বাইক চালক এবং রাতে আগরদাড়ীতে মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা ও পুত্র নিহত হন।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কদমতলা-বৈকারি সড়কের আগরদাড়ী মাদ্রাসার পশ্চিম পাশে বাইক ও ট্রলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বৈকারি গ্রামের হাফিজুর রহমান বুলু (৫৮) ও তার ছেলে আজিজুর রহমানের (২৭)।

বৈকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মো: মোস্তফা কামাল বলেন, বাবা ও ছেলে তাদের বাড়ি বৈকারীর দিকে যাচ্ছিলেন। কদমতলা-বৈকারি রোডের আগরদাড়ী মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে কাঠবোঝাই ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। তবে চালক পালিয়ে যায়।

পরিদর্শক নজরুল বলেন, নিহত বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

এছাড়া একই এলাকার বাইপাস সড়কে দুপুরে তালা উপজেলার কুমিরা এলাকার প্রভাস মাস্টারের ছেলে রাজন মোহন দাস মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় শহরের বাইপাস সড়কে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।