বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে একদল লোক এসে এই হামলা চালায়।
Published : 29 Nov 2024, 05:58 PM
জামালপুরে গভীর রাতে জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন চারজন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে একদল লোক এসে শহরের সরদার পাড়ায় এম এ রশিদ হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের মারধরে চার কর্মচারী আহত হয়েছেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, “এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সিসিটিভি ভিডিও দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।”
হামলার সময় হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা আতঙ্কিত হন। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্য অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন বলে হাসপাতালের কর্মচারীরা দাবি করেছেন।
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, “এম এ রশিদ হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর করে যাবার সময় কিছু লোক জেলা বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে হামলা করে।”
সিসিটিভির ভিডিও দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি কার্যালয় ও হাসপাতালে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এম এ রশিদ হাসপাতাল শুক্রবার পরিদর্শন করেছেন জেলা বেসরকারি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক আব্দুর রহিম রবিন।
মালিক সমিতির নেতারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার শহরের বকুলতলা চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তারা সিসিটিভির ভিডিও দেখে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।