জাল পর্চা তৈরি করে জমি দলিল করার অভিযোগে আদালতে মামলাটি করে দুদক।
Published : 23 Oct 2024, 05:51 PM
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় জালিয়াতি করে জমি দলিলের অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ নয়জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
সোমবার ফরিদপুরের সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি করেন দুদকের ফরিদপুর কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
ওই সাব-রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাস বলেন, “জাল পর্চা তৈরি করে জমি দলিল করায় আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।”
আসামি তনু রায় (৩৮) বর্তমানে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন।
মামলায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার টিকরপাড় গ্রামের প্রয়াত আবুল হাসানের স্ত্রী শুকরন নেছা ও তার তিন মেয়ে নুরজাহান বেগম (৫২), হাসি বেগম ও রাশিদা বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাশিদা বেগমের স্বামী নুর ইসলাম (৪৮), নওড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়া (৪৫), দলিল শনাক্তকারী কামার গ্রামের আলী হায়দার (৫৫) এবং দলিল লেখক আলী হায়দারকে (৫৫) আসামি করা হয়েছে। তবে জমিদাতা মোক্তার হোসেন মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে পান্নু বিশ্বাস ও তার চার ভাইয়ের নামে থাকা বিলজোয়ারিয়া টিকরপাড় মৌজার সাবেক ২২২ হাল ৩৭৭ নম্বর খতিয়ানের ৬১ দাগের ৩৯ শতাংশ জমি, ১৫২ নম্বর দাগের ৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩২ দশমিক ৫৮০ শতাংশ এবং ১৫৩ নম্বর দাগের ৩ শতাংশ জমির মধ্যে ২ দশমিক ৭১৫ শতাংশ জমি পৈত্রিকভাবে পাওয়া দেখিয়ে জাল জালিয়াতি করে বিআরএস পর্চা তৈরি করেন।
পরে একই বছরের অক্টোবরে জাল বিআরএস পর্চার মাধ্যমে শুকুরন নেসা ও তিন মেয়ে রাশিদা বেগম, নুর জাহান বেগম এবং হাসি বেগমের নামে দলিল করে দেন সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায়। এ কাজে তাদের সাহায্য করেন অন্য আসামিরা।
জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে সাব-রেজিস্ট্রার তনু রায় বলেন, “তৎকালীন সময় ওই জমির পর্চা জাল ছিল কি-না তা প্রমাণ করা যায়নি, কারণ সেই সময় বিআরএস গেজেট ছিল না।”