সাগরপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দিন আগে একটি বাড়িটিতে তাদের আটকে রাখা হয় বলে ভাষ্য পুলিশের।
Published : 31 Jan 2025, 11:18 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় একটি বাড়িতে জিম্মি করে রাখা ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে দুইজনকে; যাদের অপহরণকারী বলছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি এবং চারজন রোহিঙ্গা নাগরিক। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, একজন মেয়ে শিশু ও দুইজন ছেলে শিশু রয়েছে।
আটকরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাইট্যং পাড়ার মোহাম্মদ ছৈয়দ ওরফে ছৈয়দ মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার (৪০) এবং সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ইতলী এলাকার মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী পারভীনা আক্তার ওরফে পারভীন (২৮)।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকার এক ব্যক্তির বসত ঘরে কয়েকজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় চেষ্টার খবর পায় পুলিশ।
পরে ওই এলাকার সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসানের বসত ঘর ঘিরে ফেলে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয় কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, “বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়ারা টেকনাফ উপজেলা এবং রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা।”
উদ্ধার হওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে গিয়াস উদ্দিন বলেন, “আটকরা সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। ওই ছয়জনকে সাগরপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই থেকে তিন দিন আগে বাড়িটিতে রাখা হয়। পরে তাদের জিম্মি করে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়।”
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।