“ আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব শিল্প কারখানা সুকৌশলে বন্ধ করে দেয়। যমুনা সারকারখানা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তারা।”
Published : 10 Dec 2024, 07:47 PM
সংকট কাটাতে এবং আমদানি খরচ বাঁচাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করে পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকালে তারাকান্দি যমুনা সারকারখানার প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, যুগ্ম আহবায়ক আকুল মিয়া ও মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান বিবেক।
মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব শিল্প কারখানা সুকৌশলে বন্ধ করে দেয়। যমুনা সারকারখানা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে তারা। এসব অপকর্ম ঠেকাতে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সংকটের অজুহাতে যমুনা সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
“কারখানায় গ্যাস না থাকায় প্রায় ১১ মাস ধরে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
গ্যাস সংকটের কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে দেশের সবচেয়ে বড় যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সরকার।
কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদন হতো এই কারখানায়। এখানকার সার সরবরাহ করা হতো জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলসহ পার্শ্ববর্তী অন্তত ১৯ জেলায় ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক আকুল মিয়া বলেন, “যমুনার এক টন সার উৎপাদন করতে খরচ লাগে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে সমপরিমাণ সারের খরচ লাগে প্রায় ১ লাখ টাকা।
“আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে দেশীয় শিল্পকে সচল রাখতে হবে। এতে বাইরে থেকে সার আনতে সরকারের ভর্তুকি বহন করতে হবে না।”