পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে গালি-হুমকির অভিযোগ

রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, “অভিযোগ আমি দেখব। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।”

২ ডিসেম্বর চারঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে গালি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান।

বুধবার দুপুরে রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের কাছে চারঘাট উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ এই অভিযোগ দেন।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন হোক- এটা আমরা চাইব না। অভিযোগ আমি দেখব। বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।”

বাঘা ও চারঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য রাহেনুল হক রায়হান। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ তার সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

লিখিত অভিযোগে মেরাজ উল্লেখ করেছেন, গত ২ ডিসেম্বর চারঘাটে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় শাহরিয়ার আলম জনসম্মুখে তাকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে অপবাদ দেন। পাশাপাশি তিনি ১৭ তারিখের পর ‘তাকে দেখে নেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন’। উসকানিমূলক এই বক্তব্য শাহরিয়ার আলম প্রচার করেছেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শাহরিয়ার আলমের এ ধরনের বক্তব্য নির্বাচনি আচরণবিধির লঙ্ঘন।

এদিকে, প্রতিমন্ত্রীর যে বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। এতে প্রতিমন্ত্রীকে বলতে দেখা যায়, “১৯৯৬ থেকে ২০০১, আমাদের অনেকের চরিত্র হনন করা হয়েছে। নেতারা বিভ্রান্ত করেছেন বলেই কর্মীদের চরিত্র হনন হয়েছে। কারণ, কর্মীরা তো সবকিছু বোঝেন না, জানেন না, জ্ঞান নেই।

“কর্মীরা ২০২৩ সালে এসেও অনেক কিছু জানেন না বলে ওই মেরাজের মতো একটা কুলাঙ্গার একটা অপব্যাখ্যা দিয়ে সুস্থ শরীরে চলে যেতে পারে। আমি বেশি কথা বলতে চাই না। আমি কী বললাম, ১৭ তারিখ পর্যন্ত কন্ট্রোল, ১৭ তারিখ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ। ১৭ এর পরে যাত্রা হবে নিয়ন্ত্রণহীন। কত পরিকল্পনা দেখলাম। যে দায়িত্বে থাকি, যে কাজ করি। এর মধ্যেও কাজ করলাম বসে বসে...”, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, “একজন প্রতিমন্ত্রী যখন এভাবে প্রকাশ্যে হুমকি দেন, তখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় থাকব- এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও আমরা দল করি। নিজেদের মতো করে আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা থেমে যাইনি।”

এ বিষয়ে কথা বলতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।