রেলের জমিতে যত অবৈধ স্থাপনা আছে, পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে, বলেন লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা।
Published : 12 Jan 2025, 11:08 PM
লালমনিরহাটে রেল লাইনের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ‘কোটি টাকার’ জমি উদ্ধার করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকাল থেকে শহরের ব্যস্ততম এলাকা বিডিআর রেল গেইট সংলগ্ন এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় বলে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে অর্ধশতাধিক পাকা, আধপাকা ও কাঁচা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল রেলের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগ করে আসছিল। উচ্ছেদের আগে তাদের একাধিকবার নোটিস ও মৌখিকভাবে বলার পরও তারা রেলের জায়গাটির দখল ছাড়েননি। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি আবারও তাদের বলা হয় এবং মাইকিং করা হয়।
পরে রোববার সকাল থেকে রেলওয়ে ভূমি দখলমুক্ত করতে এ অভিযান চালানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।
সে সময় আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত জহুরুল হক মামুন নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রেস ক্লাব ও ইমারত শ্রমিকের স্থাপনা উচ্ছেদ করে তার দখলে নেন রেলের জায়গাটি।
পরে জহুরুল হক মামুন মারা গেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এরশাদ হোসেন জাহাঙ্গীর রেলের জায়গাটি তার চাচার প্রভাব খাটিয়ে নিজ দখলে নেন এবং মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দেন।
৫ অগাস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান।
পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রেলের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের নিয়মিত অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ অভিযান চলছে। রেলের জমিতে যত অবৈধ স্থাপনা আছে, পর্যায়ক্রমে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
অভিযানের সময় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার এসআই মামুনসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও সদর থানার পুলিশের একটি টিম ছিল।