শাহ সূফি আইয়ুব আলী দরবেশের মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে রোববার থানায় মামলা করেন।
Published : 26 Feb 2025, 06:54 PM
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় শাহ সূফি আইয়ুব আলী দরবেশের মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকালে নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম এমদাদ হোসেন আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম জানান।
এর আগে ৪৪ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে ৩৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সাত আসামি হলেন- সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের মুন্সিরতালুক গ্রামের আবু নোমান (৫৫), দেলোয়ার হোসেন (৪৮), মোজাম্মেল হোসেন (৪০), আবুল কালাম মৌলভী (৪৫), মো. তারেক (২৫), হাম্মাদুর রহমান (২৮) ও মো. শাহজাহান (২৮)।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে কালাদরাপ ইউনিয়নের মুন্সির তালুক গ্রামের শাহ সূফি আইয়ুব আলী দরবেশের মাজারে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল।
একইদিন বিকালে মাজারের পাশে সোলেমান মার্কেট এলাকায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে ওয়াজ মাহফিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
বিকাল ৩টার দিকে তৌহিদী জনতার ব্যানারে দুই শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মাজারে হামলা-ভাঙচুর চালায়, অগ্নিসংযোগ করে।
নোয়াখালীতে মাজারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, 'আহত ১০'
হামলাকারীরা ওরশের প্যান্ডেলসহ পুরো মাজারটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়া দরবারের ভক্তদের বাড়িঘরেও হামলার অভিযোগ ওঠে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়। তাদের বাধা উপেক্ষা করেও চালানো হয় হামলা ভাঙচুর।
হামলায় নারীসহ ১০ জন আহত হন।
সুধারাম মডের থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শাহ সূফি আইয়ুব আলী দরবেশের মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে রোববার থানায় মামলা করেন।
মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সাত আসামির জামিন নাকচ করায় তাদের স্বজনরা আদালত প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন।