বাদীর আইনজীবী বলেন, মামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ১২৬ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 05 Sep 2024, 10:39 PM
নীলফামারীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ৪২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আমলি আদালত-১ এ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বাবলা মামলাটি করেন বলে বাদীর আইনজীবী আসাদুজ্জামান রিনো বলেন।
মামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের ১২৬ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম রিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদকে উল্লেখযোগ্য আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় নীলফামারী সদর থানার সাবেক পরির্দশক (ওসি) মো. তানভিরুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
আইনজীবী আসাদুজ্জামান রিনো বলেন, “আদালতের বিচারক মো. শাহিন কবীর মামলাটি গ্রহণ করে নীলফামারী সদর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।”
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৪ অগাস্ট সকাল ১১টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হন ছাত্র-জনতা। ওই আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাদ্দাম হোসেনের নির্দেশে অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে জড়ো হতে থাকেন।
বেলা ২টার দিকে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারি অস্ত্র ও গোলাবারুদের অপব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রাস্তায় নামার সুযোগ করে দেওয়া হয় বলে মামলায় বলা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, এ সময় সরকারি অস্ত্র ও গোলাবারুদের অপব্যবহারে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্র-জনতার অনেকে আহত হন। এরপর আসামিরা জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিকদলের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন। এতে বাদীর আনুমানিক দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে অপরাধের নমুনা ধ্বংস করতে সব ভাঙা আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যান অনেক আসামি। এ সময় আসামিরা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও করেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিকাল পাঁচটার দিকে সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, “আদালত থেকে এখনো কোনো আদেশ আমাদের কাছে আসেনি।”